ভোলা সদর উপজেলার বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাস টার্মিনালে বাস ও সিএনজি চালকদের মধ্যে অন্তত দুই ঘন্টাব্যাপী উত্তেজনা, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় ২টি বাস ও ৫টি সিএনজিতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে ।
ভাংচুর করা হয়েছে আরও একটি বাস। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭ টায় এ ঘটনা শুরু হয়। এদিকে ঘটনার প্রায় ১ ঘন্টা পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে৷
পরে বাস ও সিএনজির আগুন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে উভয় পক্ষের ২৫/৩০ জন। আহতদের গুরুতর অবস্থায় ভোলার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে শ্রমিকদের উপর হামলা ও বাসে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে জেলার অভ্যন্তরীণ সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বাস মালিক সমিতি।
স্থানীয়রা জানান,বাস টার্মিনালের ভিতর থেকে অবৈধ যানবাহন, স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে মঙ্গলবার (২৭ জানু) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় বাস শ্রমিক ও সিএনজি চালকদের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধে।
ঘন্টাব্যাপী ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের সময় ২টি যাত্রীবাহী বাস, ৫টি সিএনজি অটোরিকশায় আগুন ধরিয়ে দেয়। ভাংচুর করা হয় আরও একটি যাত্রীবাহী বাস।
এদিকে বাস টার্মিনানাল সংলগ্ন ফায়ার সার্ভিসের অফিস হলেও ঘটনার প্রায় ১ ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে দমকল বাহিনী। একই সময়ে পুলিশ, নৌবাহিনী কোস্টগার্ড সহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে
আনে। তবে বাস টার্মিনালের দুইপাশে দুইগ্রুপ অবস্থান নিয়ে মুখোমুখি থাকায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করে। এ দিকে এ ঘটনার পর ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাস টার্মিনাল শ্রমিক ও সিএনজি শ্রমিকের সাথে স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।এতে বেশ কয়েকজন আহত হয় এবং বেশ কিছু যানবাহনে আগুন দেয়া হয়।
পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর সদস্য ঘটনা স্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এখন পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক। পরবর্তীতে আমরা দেখবো কারা এর সাথে জড়িত ছিলো। তাদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলেও জানান এ পুলিশের কর্মকর্তা।