বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত নাম সাকিব আল হাসান। হত্যা মামলা মাথায় নিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে বাংলাদেশের জয়ে রাখেন বড় ভূমিকা। এরপর থেকে জোরেসোরে উচ্চারিত হচ্ছে তার নাম। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন অনেকে।
এ তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি সাকিব ইস্যুতে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হককে টানেন। একই সঙ্গে নিশ্চয়তা দেন দোষী সাবস্ত না হওয়া পর্যন্ত গ্রেপ্তার হবেন না বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার।
জাতীয় দলে খেলতে বাধা নেই সাকিবের। তবে শুভেচ্ছাদূতের পদ থেকে তাকে বাদ দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গতকাল বুধবার (২৮ আগস্ট) বিএসইসির কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সংস্থাটি জানায়, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ছিলেন বিএসইসির ‘দেশব্যাপী বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম’র শুভেচ্ছাদূত। ২০১৭ সালে এ কার্যক্রমে তাকে যুক্ত করে বিএসইসি।
একই বছর অক্টোবরে রাজধানী শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করা হয় বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছাদূত হিসেবে সাকিবকে পরিচয় করে দেন সে সময়ের চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন।
২০২০ সালে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়ত-উল-ইসলামের নেতৃত্বে পুর্নগঠন করা হয় বিএসইসি। তবে শুভেচ্ছাদূত হিসেবে বহাল রাখা হয় সাকিবকে। এ সময়ে পুঁজিবাজারে আলোচিত বিনিয়োগকারী হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে তার।
জানা যায়, পুঁজিবাজারের আলোচিত কারসাজিকারক আবুল খায়ের হিরুর সঙ্গে একত্রে বড় বিনিয়োগ করেন ক্রিকেটার। অভিযোগ রয়েছে গত চার-পাঁচ বছরে পুঁজিবাজারে যেসব শেয়ার নিয়ে আবুল খায়ের হিরু সবচেয়ে বেশি কারসাজির ঘটনা ঘটিয়েছেন, এসব কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ ছিল সাকিবেরও।
Viral News BD Most Popular Bangla News & Entertainment.