মার্কিন ডলারের দর কমছে। বিশ্বের প্রধান ছয়টি মুদ্রার সাপেক্ষে যে ইউএস ডলার ইনডেক্স প্রণয়ন করা হয়, সেই সূচকের মান গত আগস্ট মাসের প্রথম দিকের তুলনায় তিন শতাংশ কমেছে। ফলে এই মুদ্রার মান এখন এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। খবর ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের।
মূলত ফেডারেল রিজার্ভের নীতিসুদ হ্রাসের সময় এগিয়ে আসতেই বিশ্বের প্রধান মুদ্রাগুলোর বিপরীতে মার্কিন ডলারের দর এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। তবে ডলার শিগগিরই আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশ্ববাজারে মার্কিন ডলারের দর নির্ভর করে ফেডারেল রিজার্ভের নীতি সুদহার এবং মার্কিন অর্থনীতির স্বাস্থ্যের ওপর। গত কয়েক মাসে যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতির হার ধারাবাহিকভাবে কমায় আশা করা হচ্ছে, বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠকে নীতি সুদহার কমানো হবে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই ডলারের বিনিময় হার কমছে।
এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, বিনিয়োগকারীরা আশা করছেন প্রথম ধাপেই ফেডারেল রিজার্ভ শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশীয় পয়েন্ট হারে নীতিসুদ কমাবে। যদিও আগে ধারণা করা হয়েছিল, নীতি সুদহার প্রথাগতভাবে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশীয় পয়েন্ট হারে কমানো হবে, যা ডলারের ওপর চাপ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। বর্তমানে ফেডের নীতি সুদহার ৫ দশমিক ২৫ থেকে ৫ দশমিক ৫০ শতাংশের মধ্যে রয়েছে, যা গত ২৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
একই সময়ে বিশ্বের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রার বিনিময় মূল্য বৃদ্ধির কারণেও ডলারের বিনিময় হার কমেছে বলে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের সংবাদে বলা হয়েছে। গত বছরের জুলাই মাসের পর জাপানি মুদ্রা ইয়েনের দর এখন সর্বোচ্চ। জাপানি মুদ্রার দরবৃদ্ধির কারণ হিসেবে দুই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিপরীতমুখী অবস্থানকে দায়ী করা হয়েছে। ফেডারেল রিজার্ভ যেখানে নীতিসুদ কমাতে যাচ্ছে, সেখানে ব্যাংক অব জাপান ইতিমধ্যে নীতিসুদ বাড়াতে শুরু করেছে।
Viral News BD Most Popular Bangla News & Entertainment.