আঙুল ধরে ধরে নখ দেখা এবং জিজ্ঞেস করতেন আঙুল দিয়ে (মেয়েলি সেক্সচুয়াল) কিছু করি কিনা। আমি কারোর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেছি কিনা জানতে চেয়ে বিরক্ত করতেন। আমি এই বাজে মানুষটার কঠিন শাস্তি চাই।
একই শর্তে আরেক নারী শিক্ষার্থী বলেন, তিনি প্রায় প্রায় মেয়েদের জামার ভেতরের পোশাক নিয়ে আজেবাজে কথা বলতেন। তিনি একদিন আমাকে বলেন, ‘জামার ভেতরে কী পরেছ, সব তো দেখাই যাচ্ছে। কালার বলব, কালার?’ এই বলে উনি হাহা করে হাসতে থাকেন। উনি ক্লাসে প্রায়ই ডাবল মিনিং কথাবার্তা বলতেন। ক্লাসে এসে তিনি বলেন, ‘মেয়েরা কলা বেশি করে খাবে, ছেলেরা কলা খাবে না। মেয়েদের তরমুজ ভালো আর ছেলেদের সাগর কলা ভালো।’
আমার এক সহপাঠীকে বলেন, ‘তুমি বেগুন বেশি বেশি করে খাবা, বেগুন খেতে অনেক মজা। বেগুন খেয়েছো কখনো?’ এছাড়াও তিনি বলতেন, ‘আমার তিনটা পা আছে। আমার তিন নাম্বার পা ধরে রিকোয়েস্ট করলে তোমার রিকুয়েস্ট শুনব।’ ক্লাসে তিনি বলতেন, ‘মেয়েদের হাতের আঙ্গুলে নখ বড় রাখলে কী জানি করতে অসুবিধা হয়।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ড. মনির উদ্দিনকে একাধিকবার কয়েকটা নাম্বার থেকে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। হোয়াটসঅ্যাপে তাকে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।
জানতে চাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলা ইতিহাস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী বলেন, গত ২২ সেপ্টেম্বর আমার কাছে ড. মনির উদ্দিনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিসহ অনেক বিষয়ে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ দেয় এবং তার বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলন করে। বিভাগের শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আমি সেদিন বিকেলেই জরুরি অ্যাকাডেমিক কমিটির মিটিং কল করি। সেখানে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়। মিটিংয়ে কমিটির সবার পরামর্শে তাকে বিভাগের সকল অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবর রহমান বলেন, আমরা অভিযোগ পত্রটি গ্রহণ করেছি। হয়তো ভিসি স্যারও পত্রটি পেয়েছেন। তবে কয়েকদিন ধরে ভিসি স্যার এতই ব্যস্ত যে এ বিষয়ে কথা বলার সময় পায়নি। স্যারের থেকে কোনো নির্দেশনাও আমি পাইনি। স্যার এখন বাইরে আছেন। আগামী সপ্তাহে আমরা এ বিষয়ে একটা আপডেট জানাব।