ব্রেকিং নিউজঃ ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে সমন্বয়কদের ওপর নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের হা.ম.লা

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে জুলাই আন্দোলনের সমন্বয়কদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এতে আহত হয়েছেন জুলাই আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক জসিম, শরীফসহ আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। এ ছাড়া এ ঘটনায় বশেমুরবিপ্রবি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আতিক ফয়সাল ও দপ্তর সম্পাদক শেখ রাসেলও আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা প্রক্টরিয়াল বডির সামনেই জুলাই আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে বর্বরোচিত হামলা চালান। এ সময় নিষিদ্ধ সংগঠনের পক্ষে স্লোগান দিতেও দেখা যায়। এ ছাড়া ছবি তোলার সময় সাংবাদিক আতিক, রাসেলসহ কয়েকজনের ওপর হামলা চালানো হয়।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের হামলায় আহত সমন্বয়করা প্রক্টর দপ্তরে অভিযোগ করবেন বলে জানা গেছে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ হামলায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগকর্মী সোহাগের বিরুদ্ধে আগেও সাধারণ শিক্ষার্থীদের

এদিকে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে সমন্বয়কদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় নিন্দা ও উদ্বেগ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

শনিবার বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জানায়, গতকাল ২৪ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থানা থেকে বের হওয়ার সময় ১৫-২০ জনের একদল সন্ত্রাসী কর্তৃক হামলার শিকার হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি নাদিমুল ইসলাম রোহান। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢামেকে ভর্তি রয়েছেন। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ-সংশ্লিষ্ট আশরাফুল ইসলাম নিসেলের নেতৃত্বেই এই পরিকল্পিত হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পাশাপাশি আজ গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপরও হামলা চালিয়েছেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে ৫ জন আহত হয়েছেন এবং পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কয়েকজন সাংবাদিকও আক্রমণের শিকার হয়েছেন।

যা বেশ উদ্বেগজনক। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এসব ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। একই সঙ্গে এই ধরনের হামলায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও আহ্বান জানাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমরা লক্ষ করেছি, চব্বিশের জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান-উত্তর সহস্রাধিক প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশে এই ধরনের হামলা-ছিনতাইসহ নানা ন্যক্কারজনক ঘটনা চলমান, যা আওয়ামী ফ্যাসিবাদী আমলের মতোই জনমতে ভয় ও শঙ্কা তৈরি করছে। সংগত কারণেই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের কর্মীদের এমন অবাধ চলাফেরা এবং বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির দায় বর্তায় অন্তর্বর্তী সরকার ও পুলিশের ওপর।

জানমালের নিরাপত্তা ও সুস্থভাবে বেঁচে থাকার অধিকার প্রত্যেক মানুষের মৌলিক মানবাধিকার। দেশের সব নাগরিককে নিরাপদ রাখা ও বাঁচতে দেওয়া রাষ্ট্রের প্রধানতম দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। সুতরাং চব্বিশের শহীদদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা এই সরকারকেই সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি অভ্যুত্থান-উত্তর নানা সময়ে এই ধরনের ঘটিত হামলা ও নানা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের চিহ্নিত করে অতিদ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি জননিরাপত্তা নিশ্চিত করারও আহ্বান জানায়।