সব সর*কারি কর্মকর্তা-কর্মচারী মহার্ঘ ভাতা পাবেন

সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী মহার্ঘ ভাতা পাবেন। একই সঙ্গে পেনশনভোগীরাও পাবেন এই সুবিধা।

এর ফলে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মূল বেতনের সঙ্গে আরও কিছু আর্থিক সুবিধা পাবেন।
আজ রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব বলেন, এই লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ বিষয়ে কমিটি সুপারিশ দেবে।

চার দফা দাবিতে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে সারাদেশের প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারিদের কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ প্রান্তিক পোল্ট্রি শিল্প রক্ষা অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান মো. মফিজুল ইসলাম মল্লিক।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রান্তিক পোল্ট্রি শিল্প রক্ষা অ্যাসোসিয়েশনের ফেনী শাখার উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় এ ঘোষণা দেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ জাবিতে মতবিনিময় সভায় ছাত্রশিবিরের উপস্থিতি, ছাত্রদল-বামদলগুলোর হট্টগোল
বাংলাদেশ প্রান্তিক পোল্ট্রি শিল্প রক্ষা অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এম এ মান্নান ভুঞার সভাপতিত্বে ফেনী শহরের মিজান রোডস্থ একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টের কনফারেন্স রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দাবিগুলো হলো:
১. ব্রয়লার মুরগির খাদ্যের দাম ২০০০ থেকে ২১০০ টাকার মধ্যে আনতে হবে, লেয়ার সোনালি মুরগি খাদ্যের দাম ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকার মধ্যে আনতে হবে ও খাদ্যের গুণগতমান বৃদ্ধি করতে হবে।

২. ব্রয়লার লেয়ার সোনালিসহ সব প্রকার মুরগির বাচ্চার দাম বাৎসরিকভাবে ২০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে আনতে হবে।

৩. মুরগির খাদ্য ও বাচ্চা উৎপাদনকারী কর্পোরেট কোম্পানি, রেডি মুরগি ও ডিম উৎপাদন করা বন্ধ করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ কোকের বিজ্ঞাপন নিয়ে কাজল আরেফিনকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম
৪. প্রতি উপজেলায় ৩০০ জন ব্রয়লার, লেয়ার, সোনালীসহ সব প্রকার মুরগি পালনকারী খামারিকে কম পক্ষে ৩ লাখ টাকা সহজ শর্তে স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণ দিতে হবে। এই চার দফা দাবি যতক্ষণ বাস্তবায়ন না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত সারাদেশে সব খামারি খামার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো।

মো. মফিজুল ইসলাম মল্লিক বলেন, গত চার বছর ধরে আন্দোলন করে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। আমাদের সমস্যার কথা কেউ বুঝেনি, কেউ গুরুত্ব দেয়নি, কেউ সমাধানে এগিয়ে আসেনি। তাই আগামী ১ জানুয়ারি থেকে খামার ব্যবস্থাপনা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করবো।

সভা শেষে ফেনী জেলার জন্য ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে এমদাদুল হক শিমুলকে সভাপতি ও সাখাওয়াত হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ পালাব কীভাবে, আজও ডিএমপি গিয়েছি : হারুন
সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- ফেনী জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক, ফেনী আঞ্চলিক প্রাণী অনুসন্ধান গবেষণাগারের ডা. সুব্রত সরকার, বাংলাদেশ প্রান্তিক পোল্ট্রি শিল্প রক্ষা অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মো. সাইদুর রহমান সাঈদি, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী শরিফ উদ্দিন,

পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ডিআইও এসবি মো. আজিজুল হক, ফেনীর অতিরিক্ত কৃষি-উপ পরিচালক মো. জগলুল হায়দার, জনতার অধিকার পার্টির চেয়ারম্যান মো. তরিকুল ইসলাম, এবি পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য প্রকৌশলী শাহ আলম বাদল প্রমুখ। এসময় সংগঠনের অন্যান্য সদস্যসহ ফেনীর প্রান্তিক খামারিগণ উপস্থিত ছিলেন।