খালেদা জিয়ার যে চাঞ্চল্যকর ভবিষ্যতবাণী কাটায় কাটায় সত্যি হলো

২০১৬ সালে কাউন্সিলের পর বিএনপির প্রথম জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে সর্বশেষ জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভা হয়েছিল ২০১২ সালের শুরুর দিকে।

সভায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার প্রতিবেদন পাঠ করেন। এছাড়া, প্রয়াত নেতাদের স্মরণে শোকপ্রস্তাব আনা হয়।

সভায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “নিজেদের সুবিধার জন্য সংবিধান সংশোধন করেছে সরকার, যাতে তারা আবার ক্ষমতায় আসতে পারে। সরকার বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখার জন্য ছক কাটছে।”

খালেদা জিয়া আরও বলেন, “তারা বিএনপিকে মাইনাস করতে চায়, যাতে আবার ক্ষমতায় আসতে পারে। তবে বিএনপির কোনো ভয় নেই। কারণ, এ দেশের জনগণ, প্রশাসন, পুলিশ বাহিনী, স্বাস্থ্য বাহিনী এবং সাধারণ মানুষ বিএনপির সঙ্গে আছে।”

জিয়া অরফান্স ট্রাস্ট মামলাকে ভিত্তিহীন দাবি করে খালেদা জিয়া বলেন, “এই মামলায় কোনো সাজা হতে পারে না। মিথ্যা মামলায় আমাকে সাজা দেওয়ার প্রচেষ্টায় লিপ্ত সরকার।” তিনি অভিযোগ করেন, “অপরাধ নেই, তাহলে বিচার হবে কীভাবে? তারপরেও গায়ের জোরে তারা বিচার করতে চায়।”

অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে সংসদ ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব তুলে ধরেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তিনি বলেন, “ষড়যন্ত্র চলছে, কীভাবে এককভাবে নির্বাচন পার করা যায়। তবে ইভিএম বা ডিভিএম কিছুই চলবে না। জনগণ ভোট দেবে, সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। আমরা চাই, সংসদ ভেঙে দেওয়া হোক।”

বিপদ একসঙ্গে মোকাবেলা করতে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশ দেন খালেদা জিয়া। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন যে, দুঃসময়ে পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, “সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে বলছি। ষড়যন্ত্র হবে, হয়রানি হবে, কিন্তু ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমি সব খবর রাখছি এবং সে অনুযায়ী কাজ করছি। যারা দলের সঙ্গে বেঈমানি করেনি, তাদের আমরা ভালো অবস্থানে রাখব। আমরা একসঙ্গে সকল বিপদ মোকাবেলা করব।”

ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয় উল্লেখ করে বিএনপি নেত্রী বলেন, “হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দিতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রতিহিংসার রাজনীতি করবে না।”

তথ্যসূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ।