হেড লাইন: মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আছিয়া খাতুনের মর্মান্তিক ঘটনার পর এবার তার শ্রেণিশিক্ষক মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন। শিক্ষক মাহফুজ জানান, আছিয়া তার সরাসরি ছাত্রী ছিল এবং তিনি তাকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়াতেন। আছিয়া পড়াশোনায় মনোযোগী ছিল, কিন্তু অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের মেয়ে হওয়ায় তার প্রয়োজনীয় যত্ন ও নিরাপত্তার অভাব ছিল।
তিনি বলেন, “এটা শুধু একজন শিক্ষকের জন্য নয়, পুরো সমাজের জন্যই বেদনাদায়ক। আমরা যদি কোমলমতি শিশুদের নিরাপত্তা দিতে না পারি, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তোলার অর্থ কী?” তিনি আরও বলেন, “দারিদ্র্যের কারণে অনেক বাবা-মা মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দেন। আছিয়ার বড় বোন মাত্র ১৪ বছর বয়সে বিয়ে হয়ে গেছে। এরকম পরিস্থিতিতে শিশুরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে, যা তাদের জীবনে ভয়ানক প্রভাব ফেলে।” আমরা যতটা জানি আছিয়ার বড় বোনের সাথে একি রকম নির্যাতন হত। তারা বাপ ছেলে মিলে আছিয়ার বড় বোনকে ভোগ করত। সম্মানের জন্য সে হয়ত কিছু বলছে না।
শিক্ষক মাহফুজ মনে করেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় শিশুদের নিরাপত্তা ও সচেতনতা তৈরিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। পাঠ্য বইয়েও ‘ভালো ও খারাপ স্পর্শ’ সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া হয়, যা আরও বিস্তৃতভাবে শেখানো উচিত বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, “শুধু আইন কঠোর করলেই হবে না, আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। দরিদ্র পরিবারগুলোকে সচেতন করতে হবে, যাতে তারা বুঝতে পারে—অল্প বয়সে বিয়ে কিংবা সন্তানদের অবহেলা তাদের জীবনের জন্য কতটা ক্ষতিকর।” তার মতে, ধর্মীয় শিক্ষা ও নৈতিক মূল্যবোধের প্রচার আরও বেশি করা উচিত। কারণ, সব ধর্মই মানুষকে ভালো কাজের শিক্ষা দেয়, অন্যায় থেকে দূরে থাকতে বলে। শিক্ষক মাহফুজের মতে, আছিয়ার মতো ঘটনা বন্ধ করতে হলে পরিবার, বিদ্যালয়, সমাজ ও রাষ্ট্রকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। নইলে এমন মর্মান্তিক ঘটনা চলতেই থাকবে, যা পুরো জাতির জন্য লজ্জাজনক।
Viral News BD Most Popular Bangla News & Entertainment.