জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের ১৯৯৬ সাল থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসছেন। সর্বশেষ ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। তার মন্ত্রিত্বকালে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দুদকে জমা হওয়া অভিযোগ অনুযায়ী, ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের পর নারী আসনে এমপি মনোনয়নে তিনি ১৮ কোটি টাকা নিয়েছিলেন।
এছাড়াও, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ৩০১ সদস্য থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে সদস্য সংখ্যা ৬০০-রও বেশি। পদ বাণিজ্যের পাশাপাশি বিভিন্ন কমিটি গঠনে বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেনের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামায় যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, তাতে গড়মিল পাওয়া গেছে। এমনসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে। গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি জাতীয় পার্টির দলীয় মনোনয়ন, পদ বাণিজ্য, বিদেশে অর্থপাচারসহ বিভিন্ন অস্বাভাবিক আয়ের উৎসের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।
এদিকে, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র আমির হোসেন আম্মু, তার মেয়ে সুমাইয়া হোসেন ও শালিকা সৈয়দ হক ম্যারি, দুদকের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে মামলা হয়েছে। রুশের সাথে অসংগতিপূর্ণ ২৬ কোটি ২৭ লাখ ৮১ হাজার টাকার সম্পদ অর্জন, তার সঙ্গে সন্দেহজনক লেনদেন এবং সম্পদের স্থানান্তর করার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়াও, সুজনা ফাউন্ডেশনের নামে ৩৩.৫ কোটি টাকা সহায়তা সংগ্রহ করে সেই অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাইমা ওয়াজেদ পুতুল এবং এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। মামলার সিদ্ধান্ত হয়েছে ফজলে আদিত্য দেশ টিভি ঢাকা।
Viral News BD Most Popular Bangla News & Entertainment.