ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ইয়াবা বিক্রিতে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর মধ্যে কয়েক ঘণ্টাব্যাপী দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার বিকালে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের শাহমুল্লুকদী গ্রামে সংঘর্ষে এলাকায় রণক্ষেত্র পরিণত হয়। এঘটনায় দুই পক্ষের কমপক্ষে ২৫ জন লোক আহত হয়েছেন। আহতদের ভাঙ্গা ও ফরিদপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংবাদ পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ নিয়ন্ত্রণ আনে।
শাহমুল্লুকদী গ্রামের আবু ফয়সাল মোল্লা জানান, আমাদের গ্রামের বেলায়েত মুন্সির ছেলে আরিপ মুন্সি ইয়াবা বিক্রি ও ইয়াবা সেবন করে আসছে। রমজানের মধ্যে আমার ভাই মনি মোল্লা সে আরিপ মুন্সিকে ইয়াবা বিক্রি ও সেবন করতে নিষেধ করে।
এঘটনার জের ধরে ঈদের দিন (সোমবার) রাত অনুমানিক ৯টার দিকে মনিমোল্লা বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে ইয়াবা বিক্রেতা আরিপ, রুবেল, ইমরান, বেলায়েত, শাখাওয়াতসহ আরও লোকজন মনি মোল্লাকে একা পেয়ে চাপাতি দিয়ে ২৩টি কোপ দেয়। বর্তমানে সে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
এ ঘটনার জের ধরে আজ বুধবার বিকাল থেকে মনিমোল্লার বাবা টুকু মোল্লা ও আরিপ মুন্সি দলের শাফি মোল্লার লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে খালের দুই পাড়ে জড়ো হয়ে সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। বিকালে থেকে রাত পর্যন্ত কয়েক ঘন্টাব্যাপী দফায় দফায় সংঘর্ষে এলাকায় রণক্ষেত্র পরিণত হয়। এঘটনায় দুই পক্ষের ২৫ গ্রামবাসী আহত হয়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়।
এঘটনায় টুকু মোল্লা বলেন, শাফি মোল্লার দলের বেলায়েত মুন্সী ডলার দেখিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে। তার ছেলে আরিফ মুন্সি ইয়াবা বিক্রি করে। আমার ছেলে মনি মোল্লা ইয়াবা বিক্রি করতে বাধা দিলে ঈদের দিন রাতে তাকে মারধর করে মৃত্যু ভেবে ফেলে যায়। আজকে বুধবার তারা আমাদের ওপরে আবারও হামলা চালায়। পরে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে মারামারি হয়। এ ঘটনায় আমার দলের ১০/১৫ জন লোক আহত হয়।
এবিষয়ে ভাঙ্গা থানার ওসি মো. আশরাফ হোসেন বলেন, ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের শাহমুল্লুকদী গ্রামে পুর্ব শক্রতার জের ধরে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছি। এলাকায় পুলিশ মোতায়ন রয়েছে। এ ঘটনায় কোনো পক্ষ অভিযোগ করে নাই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Viral News BD Most Popular Bangla News & Entertainment.