শাহবাজ সানীর মৃ..ত্যু, জানা গেল চাঞ্চল্যকর তথ্য

টেলিভিশন পর্দার তরুণ অভিনেতা শাহবাজ সানী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে মৃত্যু হয়েছে তার। বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক পোস্টে নিশ্চিত করেছেন অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্বসহ একাধিক অভিনেতা ও নির্মাতা।

তরুণ অভিনেতা শাহবাজ সানীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই অবাক হয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির সহকর্মীসহ সোশ্যাল মিডিয়ার নেটিজেনরা। তাদের অধিকাংশই জানতে চেয়েছেন, কী হয়েছিল, কীভাবে মারা গেলেন এ অভিনেতা?

জানা গেছে, শাহবাজ সানী রোববার রাত ১১টার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন। সেখানে হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাৎক্ষণিক উত্তরার একটি প্রাইভেট হসপিটালে নেয়া হয় তাকে।

এ সময় হাসপাতালটির দায়িত্বরত চিকিৎসকরা শাহবাজ সানীকে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিলে অন্য একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর সেখানেই রাত সাড়ে তিনটার দিকে মৃত্যু হয় তার। দায়িত্বরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন―হার্ট অ্যাটাকের কারণেই মৃত্যু হয়েছে অভিনেতা শাহবাজ সানীর।

তরুণ নির্মাতা ইমরাউল রাফাতের ‘কাছে আসার পর’ নাটক দিয়ে শোবিজে অভিষেক হয় শাহবাজ সানীর। অভিনেতার মৃত্যুর সময় তার পাশেই ছিলেন নির্মাতা। এ ব্যাপারে এদিন দুপুরে একটি সংবাদমাধ্যমকে ইমরাউল রাফাত বলেন, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেয়ার সময় হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন শাহবাজ সানী। রাত দেড়টার দিকে খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যাই। চিকিৎসকরা চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তাকে আর ফেরানো যায়নি।

নির্মাতা হাসিব রাখীরও কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছেন শাহবাজ সানী। এ পরিচালক বলেন, সে কেবল একজন ভালো অভিনেতাই ছিলেন না। একজন ভালো মানুষও ছিলেন। সবশেষ নাটকের শুটিংয়ে আমাকে একটি উপহার দিয়েছিলেন। আমিও তার জন্য উপহার কিনেছিলাম; সেটি পৌঁছে দিতে পারিনি। আমার এই আক্ষেপ থেকে যাবে আজীবন। উল্লেখ্য, সোমবার ভোরে শাহবাজ সানীর মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে পৌঁছেছে। সেখানে বাদ জোহর জানাজা শেষে কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে তাকে।

প্রসঙ্গত, নির্মাতা ইমরাউল রাফাতের ‘কাছে আশার পর’ নাটক দিয়ে শোবিজে যাত্রা হয় শাহবাজ সানীর। অল্প সময়েই অভিনয়গুণে দর্শকের প্রিয় হয়ে উঠেন এবং সেইসঙ্গে অর্জন করেন নির্মাতাদের আস্থাও। চরিত্রাভিনেতা হিসেবে কাজ করলেও এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় চরিত্রেও অভিনয় করেছেন।

২০১৮ সালে ‘আব্দুল্লাহ’ নাটকে তাকে প্রথমবার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় তাকে। এটি পরিচালনা করেন গোলাম কিবরিয়া ফারকী। নাটকটি প্রচারের পর দর্শকমহলে প্রশংসা পান এই তরুণ তুর্কী। নাটকটি তাকে দর্শকদের কাছে বাড়তি পরিচিতি এনে দেয়।