বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে মৃত্যু দ্বারা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৪,০৯৬ কিলোমিটার (২,৫৪৬ মাইল) দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমানায়[১০] বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে লোকেদের প্রবেশের চেষ্টা, সীমান্তে গুলিবর্ষণ এবং গবাদি পশু পাচারের ফলে বছরে বহুবার বাংলাদেশ -ভারত সীমান্তে মৃত্যু বোঝায়।[১১] সীমান্তে চোরাচালান ও বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিতর্কিত শ্যূট-অন-সাইট (দেখামাত্র গুলি) নীতি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বহাল আছে, যার প্রেক্ষিতে বিএসএফ কারণে কিংবা অকারণে বাংলাদেশি নাগরিককে গুলি করতে পারে।[১২] হতাহতদের একটি বড় অংশ হল গবাদি পশু ব্যবসায়ী এবং সীমান্তবর্তী জমির কৃষক।[১৩]
আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে যাওয়া, হাট-বাজারে বেচাকেনা করা, এবং কাজ খোঁজার জন্য অনেক মানুষ নিয়মিতভাবে সীমান্ত পারাপার করে। এছাড়াও সীমান্তের শূন্যরেখার কাছে কৃষিজমিতে কৃষিকাজ কিংবা নদীতটে মৎস্য আহরণের জন্যও অনেক মানুষকে সীমান্তপথ অতিক্রম করতে হয়। এর মধ্যে কেউ কেউ বিভিন্ন ছোটখাটো এবং গুরুতর আন্তঃসীমান্ত অপরাধে নিয়োজিত। সীমান্ত বাহিনী অবৈধ কার্যক্রম মোকাবেলার বাধ্যতামূলক করা হয়, বিশেষ করে মাদক চোরাচালান, যৌন কাজের জন্য মানব পাচার এবং জাল মুদ্রা ও বিস্ফোরক পরিবহন।[১১]
হত্যা
ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের বিরুদ্ধে ২০০০ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১,৫০০ সাধারণ ও বেসামরিক বাংলাদেশি হত্যার অভিযোগ আছে।[১২] অধিকার, একটি বাংলাদেশি এনজিও, ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী দ্বারা কমপক্ষে ১৭ বাংলাদেশি হত্যা ও বিভিন্ন নির্যাতনের দৃষ্টান্ত নথিভুক্ত করে। মাসুম, একটি কলকাতা ভিত্তিক এনজিও যারা সীমান্ত এলাকার তথ্য উদ্ঘাটন করে, তাদের তথ্যমতে, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকায় গুলি চালনার হার কমলেও বিএসএফ সন্দেহভাজনদের আক্রমণাত্মক ভীতি প্রদর্শন, নিষ্ঠুরভাবে প্রহার এবং নির্যাতন করে।[১১]
২০১১ সালের জুলাইয়ে হিউম্যান রাইটস্ ওয়াচ সীমান্ত হত্যা নিয়ে বলে, “ভারত সরকারের বাংলাদেশের সীমান্তে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) দ্বারা হত্যা, নির্যাতন, ও অন্যান্য অনাচারের নতুন অভিযোগ একটি, দ্রুত পরিষ্কার, এবং স্বচ্ছ অপরাধের তদন্ত দায়িত্বগ্রহণ করা উচিত।” হিউম্যান রাইটস্ ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়া পরিচালক, মিনাক্ষী গাঙ্গুলী বলেন, “সীমান্তে মানুষের উপর অত্যধিক বল ব্যবহার ও নির্বিচারে প্রহার অসমর্থনীয়। এইসব নির্যাতনের ঘটনা ভারতের আইনের শাসনের প্রতি দায়বদ্ধতা প্রশ্নবিদ্ধ করে।”[১১]
বিগত ১০ বছরে প্রায় ১,০০০ মানুষ ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক নিহত হয়, যার বেশিরভাগই বাংলাদেশি। সীমান্ত এলাকাকে একটি দক্ষিণ এশিয়ার হত্যার ক্ষেত্রে পরিণত করে। অনেক ক্ষেত্রে নিরস্ত্র এবং অসহায় স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যাকাণ্ডের পরিষ্কার প্রমাণ সত্ত্বেও, এখন পর্যন্ত কাঊকেই হত্যাকাণ্ডের জন্য অভিযুক্ত করা হয়নি।[১২]
মানবাধিকার সংস্থার প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১০ বছরের মধ্যে (২০০১ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত) ভারতীয় সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে প্রায় ১০০০ বাংলাদেশী বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।.[৬][৭] প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে ভারতীয় আধা সামরিক বাহিনী নিয়মিত হুমকি দেয়, নির্যাতন করে এবং সীমান্তে বসবাসকারী স্থানীয় বাংলাদেশী বেসামরিক নাগরিকদের আটক করে নির্যাতন করে এবং বাংলাদেশী সীমান্তরক্ষী বাহিনী সাধারণত বাংলাদেশী বেসামরিক নাগরিকদের সাহায্য করে না।[৬][৭][৮] অধিকার, বাংলাদেশ ভিত্তিক একটি মানবাধিকার সংগঠন অভিযোগ করেছে যে সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ ধর্ষণ ও লুটপাটের শিকার হয়েছে।[১৪]
ব্যাড এডামস, হিউম্যান রাইটস্ ওয়াচের এশিয়া বিভাগের নির্বাহী পরিচালক, সীমান্তে হত্যা প্রসঙ্গে বলেন,
“Routinely shooting poor, unarmed villagers is not how the world’s largest democracy should behave.”[১২]
শ্যূট-অন-সাইট নীতি
ভারতীয় কর্মকর্তারা বিএসএফ-এর আচরণের পরিবর্তন এবং শ্যূট-অন-সাইট নীতি বাতিল করতে নতুন আদেশ পাঠাতে অঙ্গীকার করেছেন। তারা অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারকারী বা পাচারকারীদের ধরতে অহিংস উপায় ব্যবহার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে।[১২] যদিও তা এখনোও বাস্তবে কার্যকর হয়নি।
বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তাদের শ্যূট-অন-সাইট নীতি অভিযোগের প্রতিক্রিয়া বিভ্রান্তিকর: “আমরা অবৈধ সীমান্ত পারাপারকারীদের গুলি করি যেহেতু তারা আইনভঙ্গকারী; আমরা সীমান্ত পারাপারকারীদের গুলি করি না; আমরা কেবল আত্মরক্ষাতে গুলি করি; আমরা হত্যা করতে গুলি করি না।”[১২]
বিএসএফ-এর মত কোনও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যের দ্বারা সংঘটিত একটি অপরাধের তদন্ত শুরু করার জন্য একটি ঊর্ধ্বতন ভারতীয় কর্মকর্তার অনুমতি প্রয়োজন, যা খুব কমই ঘটে।[১২]
ভারতে একটি কার্যকরী আদালত থাকলেও, সীমান্তের এসব অপরাধের ক্ষেত্রে দৃশ্যতঃ বিএসএফ একইসাথে বিচারক, জুরি এবং ঘাতক হিসাবে কাজ করতে পারে।[১২] ভারত তার সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু ভারতে প্রাণঘাতী বল ব্যবহার করার অধিকার নেই। তবুও কিছু ভারতীয় কর্মকর্তা প্রকাশ্যে নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করা হচ্ছে বলে স্বীকার করেন।[১২]
বিএসএফ-এর প্রাক্তন প্রধান রমণ শ্রীবাস্তব বলেন যে, কোনও মানুষের উচিত নয় এই শিকারগ্রস্তদের জন্য দুঃখ বোধ করা। তিনি দাবি করেন যে, যেহেতু এইসব ব্যক্তি প্রায়শই রাতে, অবৈধভাবে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করছিল, তাই তারা মোটেই “নির্দোষ” ছিল না এবং এ কারণেই এরা বৈধ লক্ষ্য ছিল।[১২]
গবাদি পশু পাচার
বাংলাদেশে ভারতীয় গবাদি পশু সরকারের কাছে একটি ছোট করের মাধ্যমে বৈধ হতে পারে যখন ভারত সমস্ত গবাদি পশু রপ্তানি নিষিদ্ধ করে। এটি সীমান্তে একটি ফ্ল্যাশ পয়েন্ট ইস্যু হয়ে উঠেছে। ক্রিশ্চিয়ান সায়েন্স মনিটরের এক হিসেব অনুযায়ী গরুর ব্যবসা প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি।[১৫] বিএসএফের হাতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সীমান্তে ২০১৪ সালের মার্চ মাসে একজন বাংলাদেশী গরু পাচারকারী নিহত হয়।[১৬] ২০১৬ সালের জানুয়ারীতে, একজন বাংলাদেশী গবাদি পশু পাচারকারীকে বিএসএফ ভুরুঙ্গামারী উপজেলা, কুড়িগ্রাম জেলার সদস্যদের দ্বারা নির্যাতিত করে হত্যা করা হয়।[১৭] একই মাসে নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলায় বিএসএফের হাতে আরেক বাংলাদেশি নিহত হয় ।[১৮] ২০১৬ সালের এপ্রিলে কুড়িগ্রাম জেলায় একজন বাংলাদেশী গরু ব্যবসায়ীকে গুলি করা হয় ।[১৯] ২০১৬ সালের জুন মাসে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় বিএসএফ-এর হাতে দুই বাংলাদেশি পাচারকারী নিহত হয় ।[২০] ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় সীমান্ত এলাকায় এক বাংলাদেশি চোরাকারবারীকে গুলি করে হত্যা করা হয় ।[২১] জানুয়ারী ২০১৭ সালে, চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলায় বিএসএফ কর্তৃক এক গবাদি পশু পাচারকারী হত্যা করা হয় ।[২২]
উল্লেখযোগ্য ঘটনা
ফেলানি
মূল নিবন্ধ: ফেলানী হত্যা
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে কুড়িগ্রামের অনন্তপুর-দিনহাটা সীমান্তের খিতাবেরকুঠি[২৩] এলাকায় ০৭ জানুয়ারি ২০১১ সালে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর সদস্যরা ফেলানী খাতুন (জন্ম:১৯৯৬ সাল)[২৩] নামের এক কিশোরীকে গুলি করে হত্যা করে।[২৪] বিএসএফ ১৮১ ব্যাটালিয়নের চৌধুরীহাট ক্যাম্পের জওয়ানদের এই ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়। ফেলানীর লাশ পাঁচ ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে ছিল।[২৫] বিএসএফ নিজস্ব আদালতে এ ঘটনার জন্য দায়ী সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। বাবার সঙ্গে ফেলানী নয়াদিল্লিতে গৃহকর্মীর কাজ করত। বিয়ের উদ্দেশে সে দেশে ফিরছিল।[২৬][২৭] এর ফলে বাংলাদেশে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।[২৮] ২০১৫ সালে ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ভারত সরকারকে তার পরিবারকে ৫০০,০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলে।[২৯][৩০]
স্বর্ণা দাস হত্যা
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সীমান্তে ২০২৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর তারিখে স্বর্ণা দাস (১৪) নামে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ গুলি করে হত্যা করে। সেদিন রাতে মা সঞ্জিতা রানী দাসের সঙ্গে ভারতের ত্রিপুরায় থাকা ভাইকে দেখতে যাওয়ার সময় এই ঘটনা ঘটে। তারা ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ইরানি থানার কালেরকান্দি সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার কাছে পৌঁছালে বিএসএফ তাঁদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। গুলিতে কিশোরী স্বর্ণা মারা যায় এবং স্বর্ণার মা সহ কয়েকজন আহত হয়।[৩১][৩২]
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের হাতে নিহত ভারতীয় নাগরিক
চোরাকারবারী সন্দেহে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কিছু ভারতীয় নাগরিককেও হত্যা করেছে বলে জানা গেছে। ২০১২ সালের ২১শে জানুয়ারী, ভারতীয় কর্মকর্তারা দাবি করেন যে ৪ বিজিবি সৈন্য ভারতে প্রবেশ করে এবং একজন ভারতীয় নাগরিককে হত্যা করে। বন্দুকের গুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে জড়ো হওয়া ভারতীয় স্থানীয়রা তাদের বাধা দিলে ৪ সৈন্য ভারতীয় নাগরিকের লাশ টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। স্থানীয়রা ১ বিজিবি সৈন্যকে আটক করলেও বাকি ৩ বিজিবি সৈন্য পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। বাংলাদেশি কর্মকর্তারা দাবি করেছেন যে নিহত ভারতীয় নাগরিক একজন পাচারকারী ছিলেন, তবে ভারতীয় কর্মকর্তারা দাবি করেছেন যে নিহত ভারতীয় নাগরিক কেবল একজন কৃষক ছিলেন।[৩৩]
২০১৫ সালের ৭ এপ্রিল, ভারতীয় কর্মকর্তারা রিপোর্ট করেছেন যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ভারতীয় ভূখণ্ডে ১০ কিলোমিটার অতিক্রম করেছে এবং দুই ভারতীয় নাগরিককে হত্যা করেছে। এক ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ ফিরিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশ। এ ঘটনায় বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশি কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, নিহত ভারতীয় নাগরিকরা চোরাকারবারি।[৩৪]
হতাহত বাংলাদেশি
মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের রেকর্ড অনুযায়ী ২০০০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে গত ২০১২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১০৬৪ জন বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যা করেছে বিএসএফ। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুসারে ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ৬ বছরে বিএসএফ গুলি ও শারীরিক নির্যাতনে হত্যা করেছে ৪২ জন বাংলাদেশিকে। অন্য একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায় ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সীমান্তে ৩শ ১২ বার হামলা চালানো হয়। এতে ১২৪ জন বাংলাদেশী নিহত হয়। এর মধ্যে ১৯৯৬ সালে ১৩০টি হামলায় ১৩ জন নিহত, ১৯৯৭ সালে ৩৯টি ঘটনায় ১১ জন, ১৯৯৮ সালে ৫৬টি ঘটনায় ২৩ জন, ১৯৯৯ সালে ৪৩টি ঘটনায় ৩৩ জন, ২০০০ সালে ৪২টি ঘটনায় ৩৯ জন নিহত হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
জাতীয় মানবাধিকার সংগঠনের হিসাব অনুসারে ২০১২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বিএসএফ হত্যা করেছে ৩৫ জনকে। এ সময় বিএসএফ ২২ বাংলাদেশীকে গুলি ও নির্যাতন করে আহত করেছে আর অপহরণ করেছে ৫৮ জনকে ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে মাত্র ৭ দিনের ব্যাবধানে ভারতীয়রা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ৩ বাংলাদেশীকে জোর-জবরদস্তি অপহরণ করে নিয়ে গেছে।[৩৫][৩৬][৩৭]
বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এর হিসাব অনুযায়ী, ২০১৩ সালে মোট ২৭ জন বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে বিএসএফ সদস্যরা৷ ২০১৪ সালে হত্যা করা হয়েছে ৩৩ জন বাংলাদেশিকে৷ আহত হয়েছেন ৬৮ জন৷ এছাড়া বিএসএফ ধরে নিয়ে গেছে ৫৯ জনকে৷ তিন বছরে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যায় ২০১৫ সাল শীর্ষে অবস্থান করছে৷ [৩৫] ২০১৫ সালে বিএসএফ হত্যা করেছে ৪৫জন বাংলাদেশিকে৷[৯][৩৮][৩৯]