হাসিনা সহ মন্ত্রীরা কবে দেশে ফিরবেন জানালেন সাবেক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক

আসন্ন ২৬ মার্চ, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস। এই দিনে দেশে ফিরে আসার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, ‘‘স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্যকে সম্মান জানাতে এবং দেশের জনগণের পাশে থাকার জন্য এই সময়টাই সঠিক।’’

আওয়ামী লীগের কঠিন পরিস্থিতিগত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আওয়ামী লীগের বহু নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হন বা আত্মগোপনে চলে যান। এর মধ্যে অনেকে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। সাবেক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, অনেক নেতার আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে তারা নিজেদের জন্য ন্যূনতম খাবার সংগ্রহ করতে পারছেন না।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে আশ্রিত আওয়ামী লীগের নেতারা বর্তমানে দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন। সাবেক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক বলেন, ‘‘আমাদের অনেকে এখনো নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে আত্মগোপনে আছেন। তবে, এই কঠিন পরিস্থিতিতেও তারা দৃঢ় মনোবল ধরে রেখেছেন।’’

তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, বিদেশে দলের পক্ষে জনমত গঠনে ভারতের সহযোগিতা নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন নেতারা।

২৬ মার্চের গুরুত্বআ ক ম মোজাম্মেল হকের মতে, স্বাধীনতা দিবসের মতো একটি ঐতিহাসিক দিনে দেশে ফেরা আওয়ামী লীগের জন্য শুধু প্রতীকী নয়, এটি হবে দলের পুনর্গঠন এবং জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা প্রদর্শনের একটি বড় পদক্ষেপ। ‘‘২৬ মার্চ আমাদের জন্য নতুন করে শুরু করার দিন হতে পারে। দেশের মাটিতে আমাদের ফেরা উচিত, কারণ জনগণ এখনো আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে,’’ তিনি বলেন।

ছাত্র আন্দোলনের পর পরিস্থিতি৫ আগস্টের পর ছাত্র আন্দোলনের ফলে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের বিরুদ্ধে চাপ ক্রমশ বাড়তে থাকে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়, আর যারা গ্রেপ্তার এড়িয়েছেন তারা আত্মগোপনে আছেন। তবে, নেতারা বিশ্বাস করেন যে তারা দ্রুতই এই সংকট কাটিয়ে উঠবেন।

নেতাকর্মীদের প্রতি বার্তামোজাম্মেল হক দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতি আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ, তবে এই সংকট কাটিয়ে উঠতে আমরা একসঙ্গে কাজ করব।’’ তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, স্বাধীনতা দিবসে দেশে ফেরা নতুন করে দলের প্রতি জনগণের আস্থা তৈরি করবে।

পরিস্থিতির গুরুত্ব:আওয়ামী লীগের এই পরিকল্পনা রাজনৈতিক অস্থিরতা নিরসনের ক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ হতে পারে। ২৬ মার্চের দিকে পুরো দেশের দৃষ্টি থাকবে, কারণ এই দিনটি শুধু ইতিহাস নয়, রাজনৈতিক পুনর্গঠনেরও একটি সম্ভাব্য মাইলফলক হতে পারে।