শেখ হাসিনার কফিনে ঠুকে দেওয়া হলো শেষ পেরেক!

হেড লাইন: গেল বছর ছাত্র জনতার প্রবল গণ আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করেন সাবেক স্বৈরাচার শেখ হাসিনা।তারপর থেকে দিল্লিতেই অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা।শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের কাছে ফিরিয়ে দিতে বরাবরই চুপ নীতির অবস্থান নিয়েছে দিল্লি। সব কিছুর পরও শেখ হাসিনার রাজনীতিতে ফেরার যে শংকা ছিল।

সেখানেও শেষ পেরেকটা ঠুকে দিয়েছে জাতিসংঘের এক রিপোর্ট। যে রিপোর্টে শেখ হাসিনার আমলের নির্মম নির্যাতনের চিত্র পরিষ্কারভাবে উঠে এসেছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাই-আগস্টে ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে সময় আওয়ামী লীগের সহিংস কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বিগত সরকার এবং নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো পদ্ধতিগতভাবে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জড়িত ছিল। ক্ষমতায় থাকার জন্য হাসিনা সরকার ক্রমাগত নৃশংস পদক্ষেপ নিয়ে পদ্ধতিগত ভাবে বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা করছিল। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ভলকার তুর্ক বলেন, গণবিক্ষোভের মুখে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে একটি পরিকল্পিত এবং সুসমন্বিত কৌশল হিসেবে এমন নৃশংস পদক্ষেপ নিয়েছিল বিগত সরকার।

বিক্ষোভ দমন করার কৌশলের অংশ হিসেবে রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং উর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের জ্ঞাতসারে তাদের সমন্বয় ও নির্দেশনায় শত শত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্বিচার গ্রেপ্তার ও আটক এবং নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে। আর এই রিপোর্ট বিশ্বজুড়ে হাসিনাকে বড় রকম প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। এতদিন ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অপরাধের প্রমাণ এখন আন্তর্জাতিকভাবে নথিবদ্ধ। যাতে বলা হয়েছে, হাসিনার হাতে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে লেগে আছে চৌদ্দশ লাশের রক্তের দাগ। ফলে শেখ হাসিনা এখন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মহা অপরাধী।এখানেই শেষ নয়। জাতিসংঘের রিপোর্টের পরের দিনেই হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার চেষ্টা আরও জোরালো করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। ভারতের সঙ্গে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে দিল্লির কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠিয়েছে ঢাকা। বৃহস্পতিবার বিকেলে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম এ কথা জানান। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে ঢাকা প্রয়োজনীয় নথিপত্র দিল্লিতে পাঠিয়েছে।শেখ হাসিনা ইস্যুতে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে অপেক্ষা করবে বাংলাদেশ। এছাড়াও ভারতে অবস্থানকারী আওয়ামী লীগের অন্য নেতাদের ফেরাতে আন্তর্জাতিক নিয়ম পালন করা হবে কিনা সেটি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার বিষয় ।

সূত্র: জনকণ্ঠ । Janakantha