বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানার বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, দুই বোনের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল—শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনা করবেন এবং শেখ রেহানা অধিকাংশ অর্থ আত্মসাৎ করবেন। সোহেলের দাবি অনুযায়ী, ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো বড় প্রকল্প শেখ রেহানার অনুমতি ছাড়া পাস হয়নি।
সোহেল আরও অভিযোগ করেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ থাকলেও, প্রকল্প শুরুর আগেই ৪ বিলিয়ন ডলার আত্মসাৎ করা হয়েছে। তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা দুর্নীতি করে দেশের সব ব্যাংক শেষ করে দিয়েছেন। কোনো ব্যাংকে টাকা নেই। প্রতিবছর দেশ থেকে ছয়টি পদ্মা সেতুর সমপরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন।”
শেখ রেহানার ভূমিকা নিয়ে সোহেল মন্তব্য করেন, “আমি ভাবতাম মুজিব পরিবারের সবাই চোর, টিউলিপকে ব্যতিক্রম ভাবতাম। কিন্তু সেও একই রকম।” তিনি আরও বলেন, “ওনার বাপের নামে একটি স্যাটেলাইট বানিয়েছেন তিন হাজার কোটি টাকা দিয়ে। যেটার খরচ হয় ১৫০০ কোটি টাকা। যেই স্যাটেলাইট আদৌ কোনো কাজে লাগে না। টাকা চুরি করার জন্য সেই স্যাটেলাইট পাঠিয়েছেন।”
সোহেল অভিযোগ করেন, “শেখ হাসিনা দুর্নীতি করে দেশের সব ব্যাংক শেষ করে দিয়েছেন। কোনো ব্যাংকে টাকা নেই। প্রতিবছর দেশ থেকে ছয়টি পদ্মা সেতুর সমপরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন।”
উল্লেখ্য, শেখ রেহানা বর্তমানে বিভিন্ন দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মামলার মুখোমুখি। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগসহ বিভিন্ন মামলার তদন্ত করছে। এছাড়া, রাজউক প্লট বরাদ্দে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অর্থপাচারের অভিযোগও রয়েছে।
সোহেল আরও বলেন, “শেখ হাসিনা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছেন। ক্ষমতার নেশায় তিনি শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করেছেন। শুধু এই কারণেই তার হাজার বছরের জেল হওয়া উচিত।”
Viral News BD Most Popular Bangla News & Entertainment.