প্রেসিডেন্টের নতুন অভিবাসন নীতির আওতায় ৩১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি থেকে আরো হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ অবস্থায় আতঙ্ক ও আইনি জটিলতা এড়াতে এখনই প্রবাসীদের যথাযথ আইনগত প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
জানা গেছে, কয়েক ধাপে ৩১ জন বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, মার্কিন ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) ইতিমধ্যে বৈধ কাগজপত্রহীন ৪০০ থেকে ৫০০ বাংলাদেশিকে আটক ও ফেরত পাঠানোর জন্য শনাক্ত করেছে।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এ বহিষ্কারের হার অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে আরও কয়েকশ বাংলাদেশিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো হতে পারে।
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক সিটি ও ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস সিটিতে বৈধ ও অবৈধ মিলিয়ে বাংলাদেশি অভিবাসীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এ দুটি সিটির বাংলাদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে রেস্টুরেন্ট, গ্রোসারিতে কর্মরত কাগজপত্রবিহীন বাংলাদেশিশূন্য হয়ে পড়েছে।
কারণ অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীরা আত্মগোপনে চলে গেছেন। শুধু বাংলাদেশি অভিবাসী নন, যারাই কাগজপত্রবিহীন, তারাই একই পথ অবলম্বন করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশি অভিবাসীর মোট সংখ্যা সম্পর্কে ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি অথবা বাংলাদেশি কমিউনিটি সংগঠনগুলোর কাছে কোনো পরিসংখ্যান নেই। ‘আইস’ এজেন্টরা এখন অবৈধ অভিবাসীদের কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক।